ভূল শুধরে আবার ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরে আসবে আশরাফুল।

আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিং করেনি

আশরাফুল টাকার জন্য ম্যাচ ফিক্সিং করেনি । সে নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করেছে । আশরাফুল সেদিন ম্যাচ ফিক্সিং না করলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর’স এর ম্যানেজার তাকে দল থেকে বাদ দিতো । তখন আশরাফুলের ফর্মওখারাপ ছিলো আর এই সুজুগ টাই নিলো ডিজি টিমের ম্যানেজার । আশরাফুলকে ফিক্সিং করাতে বাধ্য করলো ওরা । কিন্তু এখন পর্যন্ত ওদের বিরুদ্দে কোন বেববস্থা নেয়া হয়নি ।যে ছেলে ১০ কোটি টাকার মতো অফার পাওয়ার পরও আইসিএলে যায়নি সে ছেলে কখনো মাত্র ১০ লাখ টাকার জন্য ফিক্সিং করতে পারেনা । এটা আমার জীবন থাকতে বিশ্বাস করবনা ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোঃ আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিজের আত্ন উপলব্ধি থেকে অবলীলায় স্বীকার করে বীরত্বের এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। মানুষ কোন কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে রিপুর তারনায় অপরাধ করে ফেলে। এই অপরাধের ফলে যদি কারো মধ্যে আত্নসূচনা হয় এবং ভূল শুধরে সঠিক পথে চলে আসে, তবেই সে মহত্বের পরিচয় দিলো। আশরাফুল তার বয়স অনুপাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। হয়তো তার অপরিপক্ক বুদ্ধির কারনে একটা ভূল করে ফেলেছে এবং সে অনুতপ্ত । এই একটি ভূলের জন্য তার সমস্ত অবদান ও ত্যাগ ম্লান হয়েয়েতে পারেনা। আমাদের প্রত্যাশা আশরাফুল তার সমস্ত ভূল শুধরে নবরুপে আবার তার ভক্ত ও ক্রিকেট প্রেমিদের মাঝে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং তার পরিস্থিতি থেকে দলের অন্যান্য সদস্যরা শিক্ষা গ্রহন করে এ জাতিয় ক্রিকেট অপরাধ থেকে নিজেদেরকে সতর্ক দুরত্বে রাখবেন। আমাদের উচিৎ তার এই দুঃদিনে তাকে ভৎসনা না করে তার পাশে থেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া। সেই সাথে কামনা করি, আশরাফুলের মত আমাদের সমস্ত চরিত্রহীন রাজনীতিবিদদের তাদের সমস্ত অপর্মের জন্য আত্ন উপলব্ধি হউক এবং সংশোধিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করুক।

দেশের রাজনৈতিক মোচরে একটা বিরল ঘটনা ঘটে গেল সংসদে। নারীদের ক্ষমতায়নের একটা মডেল আমরা দেখে নিলাম। সংসদে প্রধান চারটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রই নারী। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে নারীদের স্বাধীন মত প্রকাশের মতো সময় তৈরি হতে আরও সময় লাগবে। বাংলাদেশের অবস্থাটা হয়েছে এমন- বালিতে পথ চলার মত। পা ফেলে এগুতে গেলে কিছুটা পেছনে চলে যায়। পায়ের নীচে মাটি টা বালি মাটি। অনেকটা দূর এগুতে এগুতে এগোনো হচ্ছে না।

যাকগে সে সব বিষয়। নানা খবরের দেশ বাংলাদেশ। সেই খবরের মাঝে চুরি বিদ্যা বিষয়ক খবর এখন গা সওয়া। হরহামেশাই চুরি হচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে আবার ঘোষণা ছাড়া। কিন্তু চোরে রা কখনও স্বীকার করছে না যে তারা চুরি করছে। আমরা অহরহই শুনতে পাই অমক চোর তমক চোর। কিন্তু তারা কখনই কোন আদালতে দাঁড়িয়ে বলে নি যে তারা চোর। সম্প্রতি আশরাফুল নামের আমাদের ভালবাসার ছোটখাটো মানুষটি চোর বলে জন গণের সামনে নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকেই তাকে নানা গাল মন্দ করছেন। কিন্তু পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি মত এই ছেলেটির শরীরের প্রায় প্রতি ইঞ্চি আমার আনন্দ আমার আফসোস আমার বেদনার আয়োজন করেছে প্রায়ই। বাংলাদেশকে বাঘা বাঘা দেশের বিরুদ্ধে জিতিয়েছেন এই ছেলেটি। হেসেছি আনন্দ পেয়েছি এই চোরের জন্য। সে চুরি করে আমাদের আনন্দ দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছে। আমার মা মাঝে মাঝে মজা করে বলে সবাই চেন চুরি করলে চোরকে ধরে পুলিশে দেয় আর আশরাফুল সেঞ্চুরি করলে দেয় তালি। আশরাফুল আমাদের আশার ফুল। কখনও ফুটেছে কখনও ফোটেনি। কিন্তু যখন ফুটেছে সুগন্ধ তো কম ছড়ায়নি। দেশে এত এত প্রতিষ্ঠান। সেখানে কত কত কর্তা ব্যক্তিই তো চুরি করে। সমাজে তাদের মহান হয়ে যায়গা পাওয়ার কোন অভাব হয় না। পথে পথে কত মানুষ রাষ্ট্রের গুষ্টি উদ্ধার করে কত জনে কত কিছু মঙ্গলের জন্য গাড়ি বাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে। দেশ তো সেই থাকছে। বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। হ্যাঁ আশরাফুল অপরাধ করেছে। অপরাধের জন্য তার সাজাও হওয়া উচিত। কিন্তু কত কত অপরাধ করে যারা আজ বুক ফুলিয়ে ঘুরছে তারা কি আশরাফুলের কাতারে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন আমি অপরাধ করেছি আর অপরাধের দহনে জ্বলছি। পারবেন না। এ কথা বলতেও সাহস লাগে…

Related posts

Leave a Comment